দর্শক সংখ্যা

Thursday, January 31, 2013

কিভাবে ইন্টারনেটে ইসলাম প্রচার করবেন?

ইন্টারনেটে ইসলাম প্রচারের কিছু টিপস

041.033 وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ "যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?" (৪১:৩৩)    

এক:- ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হয়ে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে এক যুগের বেশি সময় ধরে। তথ্য-প্রযুক্তির দ্রুত আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে এর জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে। ইন্টারনেট মিডিয়াই একমাত্র মিডিয়া যেখানে লেখক ও পাঠকের মধ্যে সরাসরি তাৎক্ষণিক অনুভূতির আদান-প্রদান সম্ভব। ফলে, সর্বস্তরের মানুষের কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে ইন্টারনেট মিডিয়াই এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় মিডিয়া। মিডিয়া সবসময়ই দুই পক্ষের মাঝে মাধ্যম

Wednesday, January 30, 2013

খিলাফত ও আমাদের অবস্থান


খিলাফত আমাদের অবস্থান
আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু
 ১ম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির কাছে তুরস্ক হারার পর ১৯২০ সালের দিকে যখন উসমানীয় খিলাফতের একদম ভঙ্গুর অবস্থা সেই সময় বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে একটি ব্যঙ্গাত্মক নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করে। এমনকি ঐ নাটকের টিকেটও বিক্রি করা হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ে উসমানী খিলাফতের সর্বশেষ খলিফা ২য় আব্দুল মাজিদ বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার কে অনুরোধ করেছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ঐ ব্যঙ্গাত্মক নাটকটি মঞ্চস্থ না করার। এর উত্তরে বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার খলিফা ২য় আব্দুল মাজিদ কে তাদের দেশের মত প্রকাশ করার স্বাধীনতার কথা বলে নাটকটি মঞ্চস্থ করবেই এই কথা বলে। এর উত্তরে মুসলিম জাহানের সর্বশেষ খলিফা ২য় আব্দুল মাজিদ বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার কে বলেছিলেন - “ আপনারা যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ঐ ব্যঙ্গাত্মক নাটকটি মঞ্চস্থ করেন তাইলে আমি জিহাদে আকবরের ঘোষনা দিব। ” খলিফার এই কথা শুনে বৃটেন ও ফ্রান্স সরকার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে ঐ ব্যঙ্গাত্মক নাটকটি আর মঞ্চস্থ করার সাহস পায় নি। জিহাদে আকবর বলতে আমরা হয়ত বুঝেছি যে বড় জিহাদ। আসলে তা নয়। জিহাদে আকবর মানে হল কোন খলিফা যখন জিহাদে আকবরের ঘোষনা দেয় তখন আর কোন বালেগ ছেলে/পুরুষ ঘরে থাকতে পারবে না। তাকে অবশ্যই কাফের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহন করতে হবে। আর আজকে খিলাফত বিলুপ্ত হবার প্রায় ১০০ বছরের মত পশ্চিমা বিশ্বে কত লক্ষবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে কত ব্যঙ্গাত্মক নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে, কত অশ্লীল কার্টুন আকা হয়েছে। এমনকি উইকিপিডিয়ায় পর্যন্ত প্রতিমুহূর্তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে অপমান করা হচ্ছে।

Monday, January 28, 2013

ইসলাম পৃথিবীর সমধিক অগ্রসরমান ধর্ম, বিশেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর


ইসলাম পৃথিবীর সমধিক অগ্রসরমান ধর্ম, বিশেষ করে ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর
ইউসুফ ইস্টস
অনুবাদক : আবু শুআইব মুহাম্মদ সিদ্দীক
           
ইসলাম পৃথিবীর সমধিক অগ্রসরমান ধর্ম
ইসলামের দিকে প্রতিটি মানুষের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে আপনার প্রশ্নটি ভাল। আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ে অনুপ্রবেশের সুযোগ কর দিলেন যা বহুদিন ধরে আমার আগ্রহকে লালন করে আসছে। বর্তমান বিশ্বে ইসলামের দিকে মানুষের ফিরে আসা এবং বিষয়টি আমাদের কাছে যে বার্তা পোঁছাচ্ছে তা নিয়ে লেখার ইচ্ছা বহুদিন ধরেই আমি লালন করে আসছিলাম হৃদয়ের মণিকোঠায়

জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-3


জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-3

সংকলনে : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করা--------
 এ দিনগুলোতে আল্লাহ রাববুল আলামিনের মহত্ত্ব ঘোষণার উদ্দেশ্যে তাকবীর পাঠ করা সুন্নত। এ তাকবীর প্রকাশ্যে ও উচ্চস্বরে মসজিদ, বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, বাজার সহ সর্বত্র উচ্চ আওয়াজে পাঠ করা হবে। তবে মেয়েরা নিম্ন-স্বরে পাঠ করবে। তাকবীর হল :

اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ، لَاإِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ، اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الحَمْدُ

আজকে আমাদের সমাজে এ সুন্নতটি পরিত্যাজ্য হয়েছে বলে মনে করা হয়। এর আমল দেখা যায় না। তাই আমাদের উচিত হবে এ সুন্নতটির প্রচলন করা। এতে তাকবীর বলার সওয়াব অর্জন হবে ও সাথে সাথে একটি মিটে যাওয়া সুন্নত জীবিত করার সওয়াব পাওয়া যাবে। হাদিসে এসেছে :
قال رسول الله- صلى الله عليه وسلم- : من أحياء سنة من سنتي قد أميتت بعدي، فإن له من الأجر مثل من عمل بها، من غير أن ينقص من أجورهم شيئا .رواه الترمذي ৬৭৭ وابن ماجه ২০৯ صححه الألباني في سنن ابن ماجة ১৭৩

রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন : ‘আমার ইন্তেকালের পরে যে সুন্নতটির মৃত্যু হয়েছে তা যে জীবিত করবে সে ব্যক্তি এ সুন্নত আমলকারীদের সওয়াবের পরিমাণ সওয়াব পাবে এবং তাতে আমলকারীদের সওয়াবে কোন অংশ কম হবে না।’[i] 

Sunday, January 27, 2013

আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু

আসসালামুআলাইকুম রাহমাতুল্লাহে ওবারাকাতুহু

সকল বিষয়ে যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য নিবেদিত। যিনি জীবন ও মৃত্যুর আবর্তন ঘটান, যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন, কে ভালো কাজ করে আর কে করে মন্দ কাজ। তাঁর আরো প্রশংসা করি এ জন্য যে, তিনি যুগে যুগে নবী ও গ্রন্থ পাঠিয়ে মানবসন্তানদেরকে জান্নাতের দিকে আহবান করেছেন আর জাহান্নাম থেকে সতর্ক করেছেন।
 কেয়ামত পর্যন্ত আমাদের পক্ষ হতে সালাত ও সালাম নিবেদিত হোক আমাদের রাসূল, আল্লাহর বান্দা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি। যিনি আজীবন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তাঁর পরিবার পরিজন, সাহাবীদের প্রতিও সালাত ও বরকত নাযিল হোক মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে।

জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-2



জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-2

সংকলনে : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান
 


যিলহজের প্রথম দশ দিনে যে সকল নেক আমল করা যেতে পারে
খাঁটি মনে তওবা করা

তওবার অর্থ প্রত্যাবর্তন বা ফিরে যাওয়া। যে সকল কথা ও কাজ আল্লাহ রাববুল আলামিন অপছন্দ করেন তা থেকে যে সকল কথা ও কাজ আল্লাহ পছন্দ করেন তাঁর দিকে ফিরে যাওয়ার নাম তওবাহোক এ সকল কাজ প্রকাশ্যে বা গোপনে। সাথে সাথে অতীতের এ ধরনের কাজ থেকে অনুতপ্ত হতে হবে, কাজগুলো ত্যাগ করতে হবে ও দৃঢ় সংকল্প করতে হবে যে ঐ ধরনের কাজ আর কোন দিন করব না। আরো সংকল্প করতে হবে যে, আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় কাজ যেমন আদায় করব তেমনি তার নিষিদ্ধ কাজগুলো পরিহার করব।

জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-1

জিলহজের প্রথম দশ দিনঃ তৎপর্য ও ফজিলত-1

সংকলনে : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান

যিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত
ইসলামে যতগুলো মর্যাদাবান ও ফজিলতপূর্ণ দিবস রয়েছে তার মাঝে উল্লেখযোগ্য হল যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন। এর মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে অনেক বাণী রয়েছে। এ সংক্রান্ত কতিপয় আয়াত ও হাদিস নিম্নে উল্লেখ করা হল
(১) আল্লাহ রাববুল আলামিন পবিত্র কোরআনে এ দিবসগুলোর রাত্রিসমূহের শপথ করেছেন। আমরা জানি আল্লাহ তাআলা যখন কোন বিষয়ের শপথ করেন তখন তা তার গুরুত্ব ও মর্যাদার প্রমাণ বহন করে। তিনি এরশাদ করেন
وَالْفَجْرِ ﴿1 وَلَيَالٍ عَشْرٍ ﴿2
‘শপথ ফজরের ও দশ রাতের’।[i]

Saturday, January 26, 2013

আসুন chm দিয়ে দেশের সর্বপ্রথম বাংলা হাদিসের Database তৈরি করি

আসুন chm দিয়ে দেশের সর্বপ্রথম বাংলা হাদিসের Database তৈরি করি

এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের 90% মুসলিম হয়েও এখনো বাংলা সহিহ হাদিসের Free digital Database বানানো হয়নি। প্রায় 22 কোটি বাংঙ্গালীগন অকাযর্করের ও অবহেলার ভূমিকা নিয়েছি, এ মহান দায়িত্ব থেকে আমরা মুসলিমগন একরকম নেহাতই পালিয়ে বেড়াচ্ছি। অনেকেই আছেন অন বা “অফ লাইনে কাজ করার সময় UNICODE টেক্সট হাদিস হাতের কাছে তৈরি না থাকায় সবাইকে কষ্ট করে টাইপ করতে হয় অথবা অনেকে ঝামেলা এড়িয়ে যান। কিন্তু এই দিন শেষ । আসুননা আমরা সমম্বিতভাবে উদ্বেগ নিয়ে বাংলা সহিহ হাদিসের Unicode Software সৃষ্টি করি। ইনশাআল্লাহ প্রথমে আমরা সহিহ বুখারীর হাদিস নিয়ে কাজ শুরু করবো। chm ফরমেটে (বামের ছবিতে নির্দেশিত)সেটা তৈরি হবে, ইনষ্টলের কোন ঝামেলা নেই। 1 click – এ ‍উইন্ডো ওপেন হবে এবং সহজেই ডাটা কপি,পেষ্ট করা যাবে, এছাড়াও রয়েছে পাওয়ারফূল সার্চ ও কিওয়ার্ড অপশন।

Thursday, January 24, 2013

আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব (পর্ব: ২)

আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব (পর্ব: ২)

alquranandmodernscience.wordpress.com(811)  ভাইয়ের উপর ভাইয়ের দায়িত্ব
**-প্রয়োজনের সময়ে সঙ্গ দেয়া এবং পাশে দাঁড়ানো। এর বিভিন্ন স্তর হতে পারে-  
প্রথমত: সর্বনিম্ন স্তর, অর্থাৎ যদি ভাই সাহায্য করে, তবে তাকে সাহায্য করা।

দ্বিতীয়ত: মধ্যবর্তী স্তর, অর্থাৎ সাহায্য প্রার্থনা ব্যতীতই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।

আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব (পর্ব: ১)

আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব (পর্ব: ১)

alquranandmodernscience.wordpress.com(994)  সমকালীন চৈতন্য জগতে, চিন্তাশীল ব্যক্তিমাত্রই, দৃষ্টিপাত করে লক্ষ্য করবেন, এবং বিমূঢ় হবেন যে, বোধ, চেতনা এবং চিন্তায় ব্যাপক পতন—উদ্দিষ্ট মর্মের তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বিভিন্ন শব্দের। এ গোত্রেরই একটি শব্দ হচ্ছে الأخوة في الله বা আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব। الأخوة في الله বা আল্লাহর জন্য ভ্রাতৃত্ব সে মজবুত দৃঢ় বন্ধন, যা প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মাঝে সুদৃঢ় বন্ধন অটুট রাখে ; এ প্রেমের বন্ধন অন্য কিছু নয়, কেবল প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মাঝে আল্লাহর নৈকট্য সঞ্জাত প্রেম। ‘মোহাব্বাত’ বা প্রেম-ভালোবাসাকে, মুসলিম মনীষী ইমাম নববী, সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে—যা প্রেমিকের ‘মত’, তার প্রতি ঝোঁক। ইবনে হাজর রহ. এর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে—ঝোঁক দ্বারা উদ্দেশ্য যা সর্বতোভাবে ঐচ্ছিক—পিতা-মাতা-বা যাদের সাথে সম্পর্ক-ভালোবাসা প্রাকৃতিক, এবং যে প্রেম-ভালোবাসা চাপিয়ে দেয়া—তা নয়। ভালোবাস হচ্ছে, যাকে কল্যাণময় বলে জ্ঞান করে, বিশ্বাস করে, তা উদ্দেশ্য করা। সৎ ভ্রাতৃত্ব মানুষের আদি স্বভাবের গভীরে প্রোথিত, যা পর্যবসিত হয় নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দেয়ায়। আবু হুরাইরা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে তার, ও তার মায়ের জন্য মোমিনদের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কের দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন। রাসূল দোয়া করে বলেছিলেন—হে আল্লাহ ! আপনার মোমিন বান্দাদের মাঝে এই বান্দা ও তার মায়ের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দিন। এবং তাদের কাছেও মোমিনদের প্রিয় করে তুলুন। কুরআনে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন—
alquranandmodernscience.wordpress.com(675) الْأَخِلَّاءُ يَوْمَئِذٍ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ إِلَّا الْمُتَّقِينَ.  
অর্থ : ভ্রাতৃগণ সেদিন পরস্পর পরস্পরের শত্র“ হবে—মুত্তাকীগণ ব্যতীত।

 কারণ, মুত্তাকীগণ ব্যতীত অন্যদের ভ্রাতৃত্ব পার্থিবে ছিল আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো জন্য ; তাই কেয়ামত দিবসে তা পরিবর্তিত হয়েছে শত্র“তায়। তবে, যারা শিরক ও পাপাচারে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের ভ্রাতৃত্ব অক্ষয়-অটল, যে যাবৎ আল্লাহই হবেন তাদের ভালোবাসার একমাত্র সূত্র, তাদের ভ্রাতৃত্ব অব্যাহত থাকবে। অপর স্থানে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন—
  فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآَتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَنُفَصِّلُ الْآَيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ.
 অত:পর তারা যদি তওবা করে, সালাত কায়েম করে, এবং জাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দীনের ভাই, আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আয়াতগুলো স্পষ্ট করে দেই।

Wednesday, January 23, 2013

এক প্রতিভাময়ী নিউরো-সাইন্টিষ্টের মৃত্যু ও জিহাদ বিশ্লেষন

এক প্রতিভাময়ী নিউরো-সাইন্টিষ্টের মৃত্যু ও জিহাদ বিশ্লেষন

pic.phpজিহাদ সর্ম্পকে শুধু অমুসলিমই নয় মুসলমানদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারনা রয়েছে প্রচুর। বেশিরভাগ মুসলিম অমুসলিমদের ধারনা কোন যুদ্ধ যদি কোন মুসলমান দ্বারা হয় ব্যক্তি, জাতিগত, রাজনীতিক বা যে কোন কারনই হোক তা হলো ‘জিহাদ’। জিহাদ শব্দের উৎপত্তি ‘জাহাদা’ হতে যার অর্থ ‘চেষ্টা করা, সংগ্রাম করা’ শয়তানের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে নিজেদের সাথে যুদ্ধ করার অর্থই জিহাদ। অন্যার্থে সামাজকে উন্নত করতে চেষ্টা করা, আর্তরক্ষার্থে যুদ্ধ করা। অন্যায়, অবিচার, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা যুদ্ধ করা। যদি কোন ছাত্র পাস করার জন্য চেষ্টা করে তাহলে আরবী অর্থে সে পাস করার জন্য জিহাদ করেছেন। যদি একজন শ্রমিক
তাঁর মালিককে সন্তুষ্ট করার জন্য পরিশ্রম করে তা ভালো বা মন্দ হোক সে জিহাদ করেছে। যদি কোন রাজনীতিক ভোটের জন্য পরিশ্রম করে তা সে ভালো বা খারাপ পর্যায় হোক সে জিহাদ alquranandmodernscience.wordpress.com(996)করেছে ভোটের জন্য।  

একটি ভূল প্রচারনা 1ম বিশ্বযুদ্ধের পর হতে 1935 সাল থেকে 1985 সাল পযর্ন্ত একটি পরিসংখানে দেখা গেছে রাসুল (সাঃ)এর সম্পর্কে 20 হাজারের উর্দ্ধে নেতিবাচক বই রচিত হয়েছে, অর্থাৎ প্রতিদিনই তারঁ বিরুদ্ধে 1 টা করে পুন্তক ছাপা হয়েছে যার মধ্যে প্রাচ্যবিদগনের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানহীনতা ও যথেচ্ছাচারের পরিচয় বহন করে। যা ইউরোপিয়ান সহ বহু দেশের অমুসলিমদের হ্রদয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনার সুত্রপাত ঘটে ধীরে ধীরে তা ইসলাম বিদ্বেষী দানবরুপে আত্নপ্রকাশ করে। যার ফলাফল এখনো চরমভাবে বিদ্যমান। অনেক বিভ্রান্তিকর মন্তব্য শোনা যায় বা বিভিন্ন ওয়েব পেজে কটাক্ষ ও উপহাস করা হয় ইসলামকে নিয়ে যার কোনটাই কুরআন বা হাদীসে নেই অথবা out of context- থেকে উদ্ধৃতি করা। বর্তমান সময়ে মুসলিম সহ অমুসলিমগনের মধ্যে “জিহাদ” বিষয়ে বহু অগ্রহনযোগ্য ধারনা রয়েছে যা আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ এ বিষয়ে অলীক প্রচারনার প্রত্যুত্তর দিতে এগিয়ে আসা, সেটা ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেল, ম্যাগজিন যত প্রকারের

পশু হত্যা : ধমীর্য় ও পুষ্টিবিজ্ঞান সমাচার

পশু হত্যা : ধমীর্য় ও পুষ্টিবিজ্ঞান সমাচার

dep_5144833-The-lonely-domestic-camel-on-white.এক আড্ডায় আমার স্কুল বন্ধু অনিমেষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছিল-"পশু হত্যা অত্যন্ত র্ববর । কেন মানুষ পশু হত্যা করে? বিভিন্ন ধর্মে গোশত খাওয়া অনুমতি দিয়েছে এটা কতটুকু যুক্তিপূর্ন? আপনি যা খাবেন তা আপনার চরিত্রে ফুটে উঠবে পশু যদি খান পশুর মতো চরিত্র হবে, সব্জী খান চরিত্র বা মেজাজ ঠান্ডা থাকবে , পশুর মতো উগ্র হবনো।"   তার উত্তর ছিল আপাতঃদৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য। কিন্তু ...বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদ ও পুষ্টিবিজ্ঞান কি বলে আসুন একটু Bitdefender দিয়ে কঠিন একটা Scan করি, দেখি infection আছে কিনা, কারন ভাইরাস সুস্থ ব্রেনেরে জন্য ক্ষতিকর।:) মুসলমানদের গোশত খাওয়ার অনুমতি আছে? আল্লাহ বলেন সুরা মুমিনুন -২৩,আয়াত ২১-    

“আর নিঃসন্দেহে গবাদী পশুতে তোমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষনীয় বিষয়। আমরা তোমাদের পান করতে দেই তাদের পেটের মধ্যে যা আছে তা থেকে, আর তাদের মধ্যে তোমাদের জন্য আছে প্রচুর উপকারিতা আর তাদের থেকে তোমরা খাও।”


1259116010195ইসলাম ধর্মের মত অন্যান্য ধর্মে ও গোশত খাওযার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কোন মুসলমানের যদি গোশতের প্রতি অনিহা থাকে তবে অন্য ব্যপার, কারন গোশত খাওয়া ফরজ নয়। গোশত না খেলে উত্তম মুসলিম হওয়া যাবেনা এমন ভাবনা অযৌক্তিক কিন্তু কেউ যদি বলেন গোশত খাওয়া অবৈজ্ঞানিক তবে বর্তমান বিজ্ঞান বলে -গোশত প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং বলবর্ধক। বেশ কয়েক বছর আগে পৃথিবীর মধ্যে ১০০০ জন টপ বডি বিল্ডারদের লিষ্ট করা হয়ছিল ও সেসাথে তাদের দৈনন্দিন খাবার তালিকাও প্রকাশ করা হয়ছেলি , এর মধ্যে ৯৯৮ জনের খাবার তালিকায় ছিল গোশত। পুষ্টিবিদগন বলেন