দর্শক সংখ্যা

Thursday, March 7, 2013

নিরপরাধ আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে একদিনের সাজার রায় হলেও ছাত্রসমাজ গর্জে উঠবে



নিরপরাধ আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে একদিনের সাজার রায় হলেও ছাত্রসমাজ গর্জে উঠবে- শিবির সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. দেলাওয়ার হোসেন বলেন, বছরের পর বছর কুরআনের তাফসির করে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এ দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেনএই নিরপরাধ প্রখ্যাত মুফাসসীরে কুরআনের বিরুদ্ধে একদিনের সাজার রায় হলেও ছাত্রসমাজ গর্জে উঠবে
তিনি আজ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জরুরী দায়িত্বশীল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেনছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী জেনারেল আবদুল জব্বারের পরিচালনায় রাজধানীর এক মিলনায়তনে আজ সকাল ১০টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ ও রাজধানীর শাখাসমুহের সভাপতিবৃন্দ
শিবির সভাপতি বলেন, আল্লামা সাঈদী এ দেশের কোটি মানুষের হৃদয়ের মনিইসলাম প্রচার ও প্রসারে তাঁর ভূমিকা মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেদেশের আনাচে কানাচে গিয়ে কুরআনের তাফসীর করে তিনি মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেনঅনেক অমুসলিম তাঁর আলোচনা শুনে অনুপ্রানিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেনবিশ্বব্যাপী তাঁর ভক্তকূল ছড়িয়ে আছেবিশ্বের মসজিদে মসজিদে, পবিত্র কাবা শরীফ, মদীনা মুনাওয়ারায় মুসলিম ভাইয়েরা তাঁর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছেনযদি এই কুরআনের সেবককে বিতর্কিত ট্রাইবুনালের রায়ে অন্যায়ভাবে একদিনেরও সাজা দেয়া হয় তাহলে তা হবে ইসলামপ্রিয় জনতার আবেগে কুঠারাঘাত করাতাওহীদি জনতা
কোনভাবেই ষড়যন্ত্রের রায় মেনে নেবে না
তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা শতাব্দীর জঘন্ন ও নিকৃষ্টতম মিথ্যাচার প্রসিকিউশন অভিযোগ প্রমানের জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সাক্ষীকেই হাজির করতে পারেনিতাঁর বিরুদ্ধে আনা ১৯টি অভিযোগের একটিও প্রমানিত হয়নিএকটি অভিযোগ প্রমান করতে যে ন্যূনতম সাক্ষী হাজির করা প্রয়োজন, প্রসিকিউশন তাও হাজির করতে পারেনিতাঁর বিরুদ্ধে পিরোজপুরের এসডিপিও ফয়জুর রহমান হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে, অথচ ফয়জুর রহমানের স্ত্রী, সন্তান ও ট্রাইবুনালের দুইশ গজের মধ্যে অবস্থান করা তার জামাতা এডভোকেট আলী হায়দার খানকেও সাক্ষী করা হয়নি ফয়জুর রহমানের স্ত্রী আয়েশা ফয়েজ পূর্বেই তার স্বামী হত্যায় জড়িত আসামীদের নাম সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে মামলা করেছিলেনঅথচ সেই মামলার নথি আনা হয়নি আয়েশা ফয়েজের লেখা বই জীবন যেমনবিবেচনায় আনা হয়নিতদন্ত কর্মকর্তা এই মামলায় ড. জাফর ইকবাল, জুয়েল আইচ, শাহরিয়ার কবিরকে আদালতে হাজির না করে লিখিত বক্তব্যকে জবানবন্দী হিসেবে গ্রহণের আবেদন করেনঅথচ জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার কবির পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে কোন জবানবন্দী দেয়ার কথাই অস্বীকার করেনএটি শুধু একটি অভিযোগের ক্ষেত্রে নয়, প্রতিটি অভিযোগের ক্ষেত্রেই আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে এভাবে মিথ্যার পাহাড় রচনা করা হয়েছে
শিবির সভাপতি বলেন, সত্যকে কোনভাবেই মিথ্যা দিয়ে লুকানো যায় নাআর তাই আমরা দেখেছি, প্রসিকিউশন তাদের নির্ধারিত যে সাক্ষীকে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন সেই সাক্ষী স্বেচ্ছায় আল্লামা সাঈদীর পক্ষে এসে সত্য কথা বলে গেছেন ভাগিরথী হত্যায় সাঈদীকে জড়ানোর পর তার ছেলে গনেশকে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয় বলে প্রসিকিউশন আদালতকে জানিয়েছিলঅথচ গনেশ পরে আল্লামা সাঈদীর পক্ষে ট্রাইবুনালে এসে স্পষ্টই বলে গেছেন যে তার মায়ের হত্যাকাণ্ডে আল্লামা সাঈদী কোনভাবেই জড়িত নয়প্রসিকিউশনের আরেক সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি আল্লামা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আদালতের সামনে থেকে গ্রেফতার করেছেআজো তাঁর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নিএইসব জালিয়াতি জনগনের সামনে প্রকাশ হবার পরও যদি কোন অন্যায় রায় দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়, তাহলে সরকারকে চরম পরিণতিই ভোগ করতে হবে
তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে তাদের চাতুরী জনগন বুঝে না, তাহলে তাদের চরম মাশুলই দিতে হবেস্কাইপি কেলেংকারীর মাধ্যমে ট্রাইবুনালে চলা প্রহসনের বিচার জাতির সামনে পরিস্কার হয়ে গেছেএর মাধ্যমে ট্রাইবুনালের প্রধান বিচারকের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছেট্রাইবুনালে বিচারের নামে চলা প্রহসন দেখে বিশ্বব্যাপী এর গ্রহণযোগ্যতা শুন্যের কোটায় নেমে এসেছেট্রাইবুনালের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রথম থেকেই কালো আইনের দ্বারা গঠিত ট্রাইবুনালের সমালোচনা করে আসছেজাতিসংঘ থেকে শুরু করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই প্রহসনের বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেনএরপরও সরকার কারো কোন তোয়াক্কা না করে প্রহসন চালিয়ে যাচ্ছেনএই প্রহসনের পরিণতি যে কী ভয়াবহ হতে পারে তা সরকার হাড়ে হাড়ে টের পাবে
তিনি আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছি, ট্রাইবুনালের বিচারকরা আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে কোনকিছুই প্রমানিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালস ঘোষণা করতে ইচ্ছুককিন্তু সরকার বিচারকদের ওপর অন্যায় চাপ প্রয়োগ করে চলছেযেখানে বিচারকরা আল্লামা সাঈদীকে একদিনের জন্য সাজা দেয়ার মত কোনকিছু পাননি সেখানে সরকার বিচারকদের দিয়ে সাজানো রায় দেয়ার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেআল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাজার রায় সরকার নিজে বানিয়ে বিচারকদের দিয়ে পাঠ করানোর চেষ্টা করছেযদি এভাবে ষড়যন্ত্রের রায় দেয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে সরকারকে জনগনের আদালতে কঠোর জবাবদীহিতার সম্মুখিন হতে হবেসকল দ্বিধা-দ্বন্দ কাটিয়ে সঠিক রায় দিতে আমরা বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি
শিবির সভাপতি যে কোন ষড়যন্ত্রের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য ছাত্রসমাজকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান

No comments:

Post a Comment