সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ জনতার দখলে থাকবে : আমীর খসরু মাহমুদ
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ জনতার দখলে থাকবে। রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ হয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাই নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারের এই আচরণে প্রমাণ হয় তাদের সময় আর বেশি দিন নেই। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা থাকবে র্যাব, পুলিশ, বিজিবির পাহারায়, আর আমরা থাকবো জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে। তিনি আরো বলেন কিছু দুর্বৃত্ত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নেতাকর্মীদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। মতা কারো চিরস্থায়ী নয়। ভবিষ্যতে এর জন্য আপনাদেরকে জনতার কাটগড়ায় দাড়াতে হবে। সরকারের দুর্নীতি, অপশাসন, খুন, গুম, হত্যা, রাহাজানীর দায়-দায়িত্ব কেন আপনারা নিবেন? প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করুন। নিরীহ জনগণকে হত্যা করে, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে আপনারা রক্ষা পাবেন না।হরতাল চলাকালে আজ বিকালে নুর আহম্মদ চৌধুরী সড়কে মহানগর বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপি সহ সভাপতি সামশুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন – বিএনপি নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, মাহবুবুর রহমান শামীম, এম এ আজিজ, আবুল হাশেম বক্কর, জাহাঙ্গীর আলম, কাজী বেলাল, নাজিমুর রহমান, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, হারুন জামান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, শামশুল হক, এড্ভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া, আখতার খান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ, ইসহাক চৌধুরী আলিম, কাউন্সিলর ইসামাঈল বালি, শিহাব উদ্দিন মোবিন, হাজী হানিফ সওদাগর, মাহবুবুল হক, নজরুল সরকার, লুৎফুন্নেসা, জেসমিন খানম, খালেদা বোরহানসহ বিএনপি যুবদল-ছাত্রদল-শ্রমিকদল-মহিলা দল নেতৃবৃন্দ।
এদিকে গতকাল সকাল ৮টার দিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মিছিল নিয়ে কাজির দেউড়ি মোড়ে অবস্থান করেন এবং সেখানে সমাবেশ করেন। এইসময় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন – দুর্নীতিবাজ এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ জনতার দখলে থাকবে। কোন বাহিনী সরকারের পতন ঠেকাতে পারবেনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার ব্যর্থ হয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। তাই নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। সরকারের এই আচরণে প্রমাণ হয় তাদের সময় আর বেশি দিন নেই।
উক্ত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাব বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। এইসময় তিনি বলেন – সরকার যেভাবে মানুষ হত্যা করছে তা গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে বিরল। এই গণহত্যার দায় সরকার এড়াতে পারবেনা। প্রত্যেক স্বৈরাশাসকেই পতনের আগে এভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। আরো উপস্থিত ছিলেন – বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন, মাহবুবুর রহমান শামীম, জাহাঙ্গীর আলম, আবুল হাশেম বক্কর, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, এড্ভোকেট নাজিম উদ্দিন, সামশুল হক, জেলী চৌধুরী, শিহাব উদ্দিন মোবিন, শফিক আহম্মদ, শাহ আলম, মাহবুব রানা, এইচ এম রাশেদ খান, আলী মোর্তুজা খানসহ যুবদল ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশ শেষ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিল লাভলেইন, জুবলীরোড, বাটালীরোড হয়ে বিআরটিসি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এদিকে সকালে বহাদ্দারহাটে মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষন করে। এতে ছাত্রদল নেতা হামিদসহ ১০/১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এছাড়াও সকালে ডবলমুরিং থানা বিএনপির মিছিল দেওয়ানহাট হয়ে চৌমুহনী মোড়ে কাছাকাছি গেলে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। বহাদ্দারহাট ও চৌমুহনী মোড়ে পুলিশের হামলার ঘটনার তীবৃ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, সাবেক সাংসদ বেগম রোজি কবির, মহানগর বিএনপি সহ-সভাপতি সামশুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেনসহ মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment