কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে একটি আন্তঃনগর ট্রেনে আগুন লাগানো হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেসের দু’টি বগিতে আগুন দেয়া হয়। এর আগে পরপর চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশনে থাকা ওয়াটার লাইন থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট একসাথে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার আগেই ট্রেনের শোভন চেয়ার কোচের দু’টি বগি পুড়ে যায়। এই খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক, রেলওয়ের ডিজি আবু তাহের, রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি সোহরাব হোসেনসহ র্যাব ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এ ছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি আইন প্রয়োগকারী সদস্যরা। মন্ত্রী দাবি করেছেন, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা এই আগুন দিয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে কর্মরত এক প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর জানান, সোমবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। এ সময় বিভিন্ন বগিতে থাকা যাত্রীরা নামতে থাকেন। কয়েক মিনিট পর যাত্রী নামা প্রায় শেষ হয়ে গেলে স্টেশনের পূর্ব দিকে বিকট শব্দে পরপর চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় যাত্রীরা দৌড়ে বাইরে বেরোতে থাকেন। আর স্টেশনের নিরাপত্তায় থাকা রেল পুলিশ ও কর্মচারীরা পূর্ব দিকে দৌড়ে যান কী হয়েছে দেখতে। ঠিক তখনই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা উপকূল ট্রেনের পেছনের দু’টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। স্টেশনের কর্মীরা স্থানীয় লাইন থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দুর্বৃত্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাস্থলে রেলপথ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীবেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মো: খাইরুল বশির জানান, যাত্রীবেশে কেউ যদি আগুন লাগায় তাহলে ট্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু করার থাকে না। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এরপর বোঝা যাবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুড়ে যাওয়া বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে ট্রেন ছাড়তে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা বাজতে পারে বলে স্টেশন সূত্র জানায়। আগুন নেভানোর পর ট্রেনটি ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ঢাকা) সোহরাব হোসেন জানান, রাজশাহী এবং কুমিল্লায় রেলে অগ্নিসংযোগ ও হামলার পর কমলাপুর রেলস্টেশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে আগুন দেয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর প্লাটফর্মের পূর্ব দিকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে নিরাপত্তাকর্মীদের মনোযোগ সেদিকে চলে যায়। এ সুযোগে খালি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তিনি আরো বলেন, রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ থাকবে, যাতে যাত্রী ও দুর্বৃত্ত শনাক্ত করা যায়। যার কারণে স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রামে ট্্েরনে আগুন,ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গত রাত সাড়ে ৮টায় রেলের একটি বগিতে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যরা বাধা দিলে তারা পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি করতে গিয়ে এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রেলওয়ের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, এ সময় আনুমানিক ৩০ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, রেলের বগিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ ঘটনায় কোনো য়তি হয়নি বলে তিনি জানান।
কমলাপুর রেলস্টেশনে কর্মরত এক প্রত্যক্ষদর্শী আলমগীর জানান, সোমবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছায়। এ সময় বিভিন্ন বগিতে থাকা যাত্রীরা নামতে থাকেন। কয়েক মিনিট পর যাত্রী নামা প্রায় শেষ হয়ে গেলে স্টেশনের পূর্ব দিকে বিকট শব্দে পরপর চার-পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় যাত্রীরা দৌড়ে বাইরে বেরোতে থাকেন। আর স্টেশনের নিরাপত্তায় থাকা রেল পুলিশ ও কর্মচারীরা পূর্ব দিকে দৌড়ে যান কী হয়েছে দেখতে। ঠিক তখনই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা উপকূল ট্রেনের পেছনের দু’টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। স্টেশনের কর্মীরা স্থানীয় লাইন থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দুর্বৃত্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঘটনাস্থলে রেলপথ মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীবেশে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মো: খাইরুল বশির জানান, যাত্রীবেশে কেউ যদি আগুন লাগায় তাহলে ট্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু করার থাকে না। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। এরপর বোঝা যাবে কারা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুড়ে যাওয়া বগিগুলো সরিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে ট্রেন ছাড়তে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা বাজতে পারে বলে স্টেশন সূত্র জানায়। আগুন নেভানোর পর ট্রেনটি ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি (ঢাকা) সোহরাব হোসেন জানান, রাজশাহী এবং কুমিল্লায় রেলে অগ্নিসংযোগ ও হামলার পর কমলাপুর রেলস্টেশনের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা যাত্রীবেশে আগুন দেয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর প্লাটফর্মের পূর্ব দিকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটালে নিরাপত্তাকর্মীদের মনোযোগ সেদিকে চলে যায়। এ সুযোগে খালি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। তিনি আরো বলেন, রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশিসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ থাকবে, যাতে যাত্রী ও দুর্বৃত্ত শনাক্ত করা যায়। যার কারণে স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।
চট্টগ্রামে ট্্েরনে আগুন,ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গত রাত সাড়ে ৮টায় রেলের একটি বগিতে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা। এ সময় নিরাপত্তাকর্মী ও অন্যরা বাধা দিলে তারা পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি করতে গিয়ে এ সময় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রেলওয়ের কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, এ সময় আনুমানিক ৩০ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তবে তার নাম জানা যায়নি।
কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম নয়া দিগন্তকে বলেন, রেলের বগিতে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। তবে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এ সময় এক দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ ঘটনায় কোনো য়তি হয়নি বলে তিনি জানান।
No comments:
Post a Comment