ফরয নামায পরবর্তী যিকরসমূহ
লেখক : শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.)
অনুবাদ : আব্দুন নূর বিন আব্দুল জাব্বার
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয নামায শেষে যে সমস্ত দু’আ পাঠ করা নাবী কারীম [] এর অনুসরণে সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
* أستغفر الله৩ বার পড়বে,
* অতঃপর নিম্নের দু’আগুলি ১ বার পড়বে :
(( اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ واْلإِكْرَامِ ))
অর্থ:“হে আল্লাহ! তুমি শান্তি দাতা, আর তোমার কাছ থেকেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময় !”
লেখক : শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রহ.)
অনুবাদ : আব্দুন নূর বিন আব্দুল জাব্বার
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয নামায শেষে যে সমস্ত দু’আ পাঠ করা নাবী কারীম [] এর অনুসরণে সহীহ হাদীস থেকে প্রমাণিত তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
* أستغفر الله৩ বার পড়বে,
* অতঃপর নিম্নের দু’আগুলি ১ বার পড়বে :
(( اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ واْلإِكْرَامِ ))
অর্থ:“হে আল্লাহ! তুমি শান্তি দাতা, আর তোমার কাছ থেকেই শান্তি, তুমি বরকতময়, হে মর্যাদাবান এবং কল্যাণময় !”
((لا َإِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا َشَرِيْكَ لَهُ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ؛ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِالله؛ لا إِلَهَ إلاَّ اللهُ وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إِيَّاهُ؛ لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ؛ لاَ إِلَهَ اِلاَّ الله ُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْكَرِهَ الْكَافِرُوْنَ؛ اَللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِىَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ))
অর্থ:“আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সব কিছুর উপরেই ক্ষমতাশালী। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া দুঃখ কষ্ট দূরকরণ এবং সম্পদ প্রদানের ক্ষমতা আর কারো নেই। আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদত করি, নিআমত সমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) মা’বূদ নেই। আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তাঁর জন্য একনিষ্ঠ ভাবে পালন করি। যদিও কাফিরদের নিকট উহা অপছন্দনীয়। হে আল্লাহ! তুমি যা দান করেছো, তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। আর তুমি যা নিষিদ্ধ করেছো তা প্রদানকারীও কেউ নেই। এবং কোন সম্মানী ব্যক্তি তার উচ্চ মর্যাদা দ্বারা তোমার দরবারে উপকৃত হতে পারবে না।”
* মাগরিব ও ফজর নামাযের পর পূর্বের দু’আগুলো সহ নিম্নের দু’আটি ১০ বার পড়বে।
(( لا َإِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا َشَرِيْكَ لَهُ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِ وَيُمِيْتُ وَهُو َعَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ.((
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।”
* অতঃপর “سبحان الله” ৩৩ বার, “ الحمد لله” ৩৩ বার, “الله أكبر” ৩৩ বার পড়বে। এই মোট ৯৯ বার আর একশত পূর্ণ করতে নিম্নের দু’আটি পড়বে।
(( لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لا َشَرِيْكَ لَهُ؛ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُو َعَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ))
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া (সত্য) কোন মা’বূদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সকল বাদশাহী ও সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। তিনিই সব কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।”
** অতঃপর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে :
** اَللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ (২৫৫) سورة البقرة
অর্থ: “আল্লাহ তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক, তাকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীময় পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণা-বেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।” [সূরা বাকারা ২৫৫ আয়াত]
অর্থ: “আল্লাহ তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক, তাকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই তাঁর। কে আছে এমন যে, তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত আছেন। যতটুকু তিনি ইচ্ছে করেন ততটুকু ছাড়া তারা তাঁর জ্ঞানের কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী সমস্ত আকাশ ও পৃথিবীময় পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণা-বেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। তিনি মহান শ্রেষ্ঠ।” [সূরা বাকারা ২৫৫ আয়াত]
**অতঃপর সূরা ইখলাস, সূরা নাছ এবং সূরা ফালাক্ক পাঠ করবে।
** মাগরিব ও ফজর নামাযের পরে এই সূরা তিনটি তিনবার করে পুনরাবৃত্তি করবে। এ ভাবেই পাঠ করা উত্তম।
সমাপ্ত
সমাপ্ত
No comments:
Post a Comment