দর্শক সংখ্যা

Thursday, March 7, 2013

আজ ০৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা মহামান্য ইমরান এইচ সরকার।

আজ ০৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা মহামান্য ইমরান এইচ সরকার। তার ভাষণের খসড়ার কিছু অংশ: "ভাইয়েরা আমার, ১২০৩ খৃষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়া খিলজি বাংলায় আক্রমণ করে পৈত্তলিকতাকে পায়ে দলে বাংলা দখল করে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করেছিল, আমাদের বীর বাঙ্গালীর ধুতিধরে টান দিয়েছিল, পায়জামা-পাঞ্জাবী পড়িয়েছিল, পৈতা ছেড়ে টুপি পড়েছিল। সেদিনই মূলত একত্তবাদের হাতে বাঙ্গালী জাতি স্বাধীনতা হারিয়েছিল, যা আজো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ভাইয়েরা আমার, এরপরে ইংরেজরা এসে মুসলমানদের হাত থেকে শাসনক্ষমতা দখল করে নিয়েছিল। আমরা আশায় বুক বেধেছিলাম, এবং গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ দপ্তরে আমাদের পৈত্তলিকতায় বিশ্বাসী ভাইদের বসাতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে তা ছিল দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর শামিল। তাই বাঙ্গালীর প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য আমরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে অহিংস করেছি, এ অহিংসার অংশ হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার মুসলমানকে ওদের আকাঙ্খিত বেহেস্তে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং এভাবেই ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের বন্দীশালা থেকে ভারতমাতাকে অবমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। ভাইয়েরা আমার, সাতচল্লিশে যে স্বাধীনতা এসেছে, দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে সে স্বাধীনতায় পৈত্তলিক বাঙ্গালীর মুক্তি মেলে নি। তারা পশ্চিম পাকিস্তানী স্যাখদের নির্যাতনের যাতাকলে পতিত হয়েছে। তাই পাকিস্তানী হায়েনাদের হাত থেকে তথাকথিত মুসলিম জাতীয়তাবাদকে লাথি মেরে উড়িয়ে দিয়ে আমরা বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতমাতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও পরামর্শে বাঙ্গালী জাতিকে এক ভয়াবহ যুদ্ধে নামিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা ভারতের হোটেলের ডিলাক্স রুমে, ক্লাব, বারে বসে আমোদ প্রমোদে মত্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের মাতলামি শেষে যখন হুশ ফিরে পাই তখন বিস্মিত হয়ে দেখতে পাই ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত সাগরে ২ লক্ষ মায়ের ইজ্জতের নৌকায় ভেসে উঠেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ভাইয়েরা আমার, যে পৈত্তলিক বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা, ভারত থেকে ফিরে এসে স্ববিস্ময়ে আমরা লক্ষ করি যে শিশুটি ভূমিষ্ট হয়েছে দেব-দেবীর আশির্বাদে, সে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে ভারতমাতার অবাধ্য সন্তান। আমরা বারবার একে বাধ্যসন্তান হতে শিক্ষা দিয়েছি, আমরা দেবদেবীর রুদ্ধরোষ থেকে বাঁচতে ৩০ হাজার জাসদ কর্মীকে বলি দিয়েছি, আমরা রক্ষীবাহিনী গঠন করেছি, আমরা পিতার সামনে সন্তানকে হত্যা করে কাটামুন্ডু দিয়ে পিতাকে ফুটবল খেলতে বাধ্য করেছি, আমরা মিডিয়ার কন্ঠরোধ করেছি, চারটি বাদে সকল পত্রিকা নিষিদ্ধ করেছি, এমনকি ওদেরকে ভারতমাতার বশ মানাতে বশিকরণ মন্ত্র হিসেবে দূর্ভিক্ষ ডেকেছি। কিন্তু তারপরও ওদের বশ করা সম্ভব হয় নি, বরং পচাত্তরের ১৫ আগস্ট ওরাই আমাদের বশিকরণ বড়ি খাইয়ে দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছিল। ভাইয়েরা আমার, আজ এতোদিন পরে, নানা ঘাত-প্রতিঘাত শেষে আমাদের সামনে সূবর্ণ সুযোগ এসেছে বাংলায় পৌত্তলিকতা ফিরিয়ে আনার, বাঙ্গালী জাতিকে প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ দেয়ার, বাংলাদেশ থেকে তাওহীদবাদীদের মূলোচ্ছেদ করে এদেশে ভারতমাতার একান্ত বাধ্য রামরাজ্য কায়েম করার। বন্ধুরা আমার, আজ এ ঐহিতাসিক মুহুর্তে তোমাদের প্রতি আমার অনুরোধ রইলো, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যার যা-কিছু আছে, তাই নিয়ে পাড়ায় মহল্লায়, বখতিয়ারের উত্তরসূরীদের উপর হরিবল হরিবল রবে ঝাপিয়ে পড়ো, বিশ্বব্রহ্মান্ড প্রকম্পিত করে শ্লোগান তোল, "একটা দুইটা শিবির ধর, ধইর‍্যা ধইর‍্যা জবাই কর"। আমরা হাতে মারবো, আমরা পায়ে মারবো, আমরা সামনে থেকে পেছন থেকে চতুর্দিক থেকে গুলি বর্ষন করে মারবো, আমরা চাপাতির আঘাতে আঘাতে তাড়িয়ে তাড়িয়ে ওদের মৃত্যু উপভোগ করবো, আমরা নির্মমভাবে নির্যাতত করে করে ওদের চোখ তুলে হত্যা করবো। বন্ধুরা আমার, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি (ভারতের ভিসা তৈরি আছে), তোমরা ওদের শেষ বংশধরটি পর্যন্ত হত্যা করে বাঙ্গালী পৌত্তলিকতার প্রকৃত স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে ভারতমাতার পদতলে অঞ্জলি দিও। মনে রাখবা, রক্ত যখন নিয়েছি, রক্ত আরো নেবো, এদেশকে ইসলামশূন্য করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। আজ আমি তোমাদেরকে স্বাক্ষী রেখে বাঙ্গালীর দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ (ইসলামের একত্তবাদ থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ) ঘোষণা করলাম। জয় বাংলা, জয় হিন্দ, জয় মা তাঁরা।
   

No comments:

Post a Comment