দর্শক সংখ্যা

Showing posts with label পর্দা. Show all posts
Showing posts with label পর্দা. Show all posts

Thursday, March 21, 2013

পূত চরিত্র অলম্বনের উপায়-উপকারিতা


পূত চরিত্র অলম্বনের উপায়-উপকারিতা
আখতারুজ্জামান মুহাম্মদ সুলাইমান
মানুষের উত্তম আখলাকের অন্যতম পূত-চরিত্র বা নিষ্কলুষ স্বভাব। পূত চরিত্র অবলম্বন ছাড়া কেউ পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। তাই দেখা যায় প্রতিটি মহা-মানবের মধ্যেই এ গুণ ছিল অবধারিতভাবে। আবু সুফিয়ান রা. থেকে বর্ণিত, হিরাকল্ বাদশা তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘নবী তোমাদেরকে কি করার আদেশ দেয়?’ আমি বললাম, তিনি বলেন- ‘তোমরা এক আল্লাহ্র ইবাদত কর, তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না। তোমাদের পূর্ব পুরুষ যা বলতেন তোমরা তা ছেড়ে দাও। আর আমাদেরকে তিনি সালাত, সততা, পূত চরিত্র ও আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার আদেশ করতেন।’
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল
¬াম সাহাবাগণকে পূত চরিত্র অবলম্বনের আদেশ করতেন। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রভুর নিকট দুআ করতেন—
‘হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট হিদায়াত, তাকওয়া, সচ্চিরত্র ও অভাবমুক্তির প্রার্থনা করছি।’ (মুসলিম : ৪৮৯৮)

পূত চরিত্রের উপাদানগুলো :
(১) হারাম থেকে বিরত থাকা :
হারাম উপার্জন ও হারাম ভক্ষণ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকা। এর দ্বারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি মেলে। পক্ষান্তরে যে দেহ হারাম দ্বারা লালিত তার ঠিকানা জাহান্নাম। তাছাড়া হারাম খাদ্য থেকে বেঁচে থাকলে দুআ কবুল হয় এবং আল্লাহ্ বিশেষভাবে তাকে হেফাজত করেন।
(২) ভিক্ষা করা থেকে বিরত থাকা :
আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন—
لَا يَسْأَلُونَ النَّاسَ إِلْحَافًا (سورة البقرة : ২৭৩)
‘তারা মানুষের কাছে কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না।’ (বাকারা : ২৭৩)
আউফ ইবনে মালেক রহ. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিসহ কয়েকজন সাহাবিকে বললেন, ‘তোমরা কেন বাইয়াত গ্রহণ কর না? সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহ্র রাসূল, আমরা তো বাইয়াত গ্রহণ করেছি। নতুন করে কোন বিষয়ে আপনার হাতে বাইয়াত করব? তিনি বললেন, তোমরা মানুষের কাছে কিছু প্রার্থনা করো না।
তাই কর্তব্য হলো
-

পর্দা: নারীর দুর্গ ও রক্ষাকারী ঢাল



পর্দা:  নারীর দুর্গ ও রক্ষাকারী ঢাল
চৌধুরী আবুল কালাম আজাদ

পর্দা একটি ইবাদত, সালাত যেমন ইবাদত। এটি আল্লাহর নির্দেশ। বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী আল্লাহ তাআলা কুরআনে মাজীদে এরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

"হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের স্ত্রীদেরকে বল, তারা যেন তাদের জিলবাবের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না  আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়াময়।" (সূরা আহযাবঃ ৬০)

বেপর্দা আর নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশা সমাজে কেমন বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং নারীকে কীভাবে ভোগ্য-পণ্যের বস্তুতে পরিণত করেছে তা আমরা আমাদের চারদিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাইপারিবারিক ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অশান্তি, দাম্পত্য-কলহ ও পারস্পরিক অবিশ্বাস, বিবাহ-বিচ্ছেদ, নারী-নির্যাতন ইত্যাদি সবকিছুর পেছনেই একটি প্রধান কারণ হলো পর্দাহীনতা এবং নর-নারীর অবাধ মেলা-মেশা

যদিও ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতা অথবা এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকে না বুঝার কারণে কেউ কেউ একে পশ্চাৎপদতা, সেকেলে, নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের পন্থা, উন্নয়নের অন্তরায় এবং নারী ও পুরুষের মধ্যে একটি বৈষম্য সৃষ্টির প্রয়াস বলে আখ্যায়িত করে থাকেনমূলতঃ এই ভুল বুঝাবুঝির জন্য মুসলিম বিশ্বের কতিপয় এলাকায় ইসলামের সত্যিকার শিক্ষার অপপ্রয়োগ আর পাশ্চাত্য গণমাধ্যমের নেতিবাচক ভূমিকাই দায়ীপাশ্চাত্য গণমাধ্যমের এটা একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, ইসলামের কথা উঠলেই তার প্রতি একটা কুৎসিৎ আচরণ প্রদর্শন করা হয়আর তাদের এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে আমাদের এই অঞ্চলেও অনেকে পর্দাপ্রথা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা পোষণ করে থাকেনএকজন খ্রীষ্টান 'নান' বা ধর্মজাজিকা যখন লম্বা গাউন আর মাথা-ঢাকা পোশাক পড়ে থাকেন তখন তা আর পশ্চাৎপদতা, উন্নয়নের অন্তরায় বা নারীকে শৃঙ্খলিতকরণের প্রয়াস বলে বিবেচিত হয় না বরং তা  শ্রদ্ধা, ভক্তি বা মাতৃত্বের প্রতীক রূপেই বিবেচিত হয়

অতএব, ইসলামের পর্দা-ব্যবস্থা নারীকে শৃঙ্খলিত করার পরিবর্তে তাঁকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে, সমাজে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ-ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছেইসলাম নারীকে কিরূপ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে বা পর্দাপ্রথা নারীকে কী মর্যাদা দিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে আসুন আমরা দেখি, তথাকথিত প্রগতি, নারী-স্বাধীনতা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সমাজকে বা নারীকে কী দান করেছে

বর্তমান যুগে, বিশেষত পাশ্চাত্য-বিশ্বে নারীকে তাঁর নিজের ভাগ্যনিয়ন্তা রূপে আখ্যায়িত করা হয়সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সাথে তাল-মিলিয়ে এবং অনেক ক্ষেত্রে নারীকে পুরুষের তুলনায় অধিকতর যোগ্য বা efficient বলেও চিহ্নিত করা হচ্ছেকিন্তু প্রকৃতপক্ষে সত্যিই কি নারী লিঙ্গ-বৈষম্যকে অতিক্রম করে পুরুষের সমান মর্যাদা লাভ করতে পেরেছে? 'কলঙ্কময় অতীতের' নিগ্রহ ও দমন-নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেয়েছে? তথাকথিত নারী-স্বাধীনতা কি নৈতিকতা সম্বৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ একটি নতুন সমাজ-ব্যবস্থার ইঙ্গিত প্রদান করে? সত্যিই কি নারী প্রকৃত সামাজিক