
ঘটিয়েছে। আজকের গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দ বিগত জোট সরকারের আমলে সততার সাথে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করে নজির স্থাপন করেছেন। এভাবে যদি পরীক্ষিত সৎ নেতাদের নির্যাতিত হতে হয় তাহলে দেশ সৎ নেতাশুন্য হয়ে পড়বে। প্রিয় দেশবাসী ভাই ও বোনেরা, আজ আপনাদের কাছে দিবালোকের ন্যায় সত্য- কেন এই সরকার ইসলামী নেতৃবৃন্দকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে। নাস্তিক্যবাদী আওয়ামী সরকার ইসলামী নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার মাস্টার প্লান নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার প্রমান আপনারা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করেছেন। বোরকা পরিহিতা মা-বোনদের বোরকা কেড়ে নেয়া হচ্ছে, পিতার বয়সী মুরুব্বীদের দাড়ি ধরে মারা হচ্ছে, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তালা মারা হয়েছে। সংবিধান থেকে ‘ইসলাম’কে মুছে ফেলা হয়েছে। কুরআন তিলাওয়াতও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ইসলামপ্রিয় নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রের রায় আমরা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করেছি। দেশের ও সারাবিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানও এই রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। রায় পরবর্তী সময়ে সারাদেশে ব্যাপক ভাবে সর্বস্তরের জনতার ফুঁসে উঠার মাধ্যমে এই সত্য সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে- রায় পরবর্তী সময়ে সারাদেশে স্বতস্ফুর্তভাবে সর্বস্তরের জনগন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে, কীভাবে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এখন সরকার যদি জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝতে ভুল করে, তাহলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। ভয়াবহ কোন পরিস্থিতি কখনোই সরকার ও দেশের জন্য কল্যাণকর হয়নি, হবেও না। সরকার শান্তিপ্রিয় বিক্ষুদ্ধ জনতার আবেগকে প্রশমিত করতে উদ্যোগ নেয়ার পরিবর্তে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ইসলামপ্রিয় মানুষদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে। সরকারের নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ২৮ ফেব্রুয়ারি ন্যাক্কারজনক গণহত্যা চালিয়েছে। একদিনেই ৭৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজকেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে একইভাবে ২৭জনকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতার পর এত বড় গণহত্যা কখনো সংঘটিত হয়নি। শুধু এই তিন মাসে পুলিশ গুলি চালিয়ে ১২৯ ইসলামপ্রিয় জনতাকে হত্যা করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হাজারো ইসলামপ্রিয় মানুষ। সম্মানিত দেশবাসী, দেশের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা আহমদ শফী, মাওলানা আহমদুল্লাহ আশরাফ এবং মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামীসহ সর্বস্তরের আলেম সমাজের উপর বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আমরা হিটলার, চেঙ্গিস ও মুজিবের রক্ষীবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস পড়েছি। কিন্তু শেখ হাসিনার হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস সকল কিছুই অতিক্রম করতে চলেছে। আজ আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বেতনভুক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভারতীয় বিএসএফ’র বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। আমরা সরকারকে স্পষ্ট বলতে চাই, অমানুষিক নির্যাতন ও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা গুম করে কেউ কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। আপনারাও পারবেননা ইনশাআল্লাহ। আপনাদের জন্য ভয়াবহ পরিণিতি অপেক্ষা করছে। আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন। নইলে সেই আগুনে নিজেরাই পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাবেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভাইদেরকে বলবো, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা এবং জনসেবাই আপনাদের প্রথম ও প্রধান কাজ। কোন ক্ষমতাসীন দলের দলীয় সন্ত্রাসীতে পরিণত হবেন না। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, আমরা কোথাও বাড়াবাড়ি করিনি। যেখানে আমাদের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হয়নি সেখানে কোন বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। আপনারাই এর সাক্ষী। কিন্তু অগণতান্ত্রিকভাবে যেখানে বাঁধা দেয়া হয়েছে, গুলি চালানো হয়েছে, সেখানেই কেবল বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভাইয়েরা, আমরা আপনাদের বন্ধু মনে করি। আর যদি আপনারা আমার ভাইয়ের উপর গুলি চালান তাহলে আপনাদের সতর্ক করে বলছি, আপনাদের অতি উৎসাহী সদস্যরা যেভাবে জনতার ওপর নির্যাতন করেছে তার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ জনগণের হাতে আছে। সময় মতো জনগনের কাছে এর জন্য অবশ্যই জবাবদীহি করতে হবে। প্রিয় দেশবাসী, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, কিছু গণমাধ্যম সরাসরি সরকারের দালালে পরিণত হয়েছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। সংখ্যালঘুদের বাসা ও উপাসনালয়ে হামলা, দোকানপাট লুট ও অগ্নি সংযোগের সাথে জামায়াত-শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছে। এসব সংবাদ পরিবেশনের আড়ালে তারা চায় দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী হোক। আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারি, এ ধরণের ঘটনার সাথে অতীতেও জামায়াত শিবিরের কোন সম্পর্ক ছিল না, বর্তমানেও নেই। যদি কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তবে সরকারি গোয়েন্দা বাহিনী এবং সরকারি দলের ক্যাডাররাই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা ইতোমধ্যে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দির ভাঙ্গার মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়েছে। আমরা এই ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ শুক্রবার নাস্তিক ব্লগার ও শাহবাগীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মসুল্লিদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জাতীয় পতাকা, জায়নামাজ পোড়ানো ও শহীদ মিনার ভাংচুর করা হয়েছে বলে কিছু গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। শহীদ মিনার হলো ’৫২-র ভাষা আন্দোলনে আতœদানকারী শহীদ ভাইদের স্মৃতি স্তম্ভ। দুঃখজনকভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গার শহীদ মিনারগুলোতে কিছু বামপন্থী ও নাস্তিকদের নেতৃত্বে তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের নামে ছেলে-মেয়ে একসাথে করে আনন্দ ফুর্তি করার মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। যাতে শহীদ মিনারের মর্যাদা ভীষনভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান জনতা কোন ভাবেই এটা মেনে নিতে পারেনি। দেশপ্রেমিক বিক্ষুদ্ধ জনতা শহীদ মিনার থেকে এই মঞ্চগুলোকে ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলেছে। কিন্তু কোথাও কোন শহীদ মিনার ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, জায়নামাজ ও জাতীয় পতাকা পোড়ানোর কোন ঘটনা ঘটেনি এবং তা কোন গণমাধ্যম দেখাতে পারবে না। বরং শাহবাগ চত্ত্বর থেকেই প্রতিনিয়ত জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হচ্ছে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও

No comments:
Post a Comment